পয়েন্টস
যেখানেই যাই সেখানেই খালি পয়েন্ট। সারামাস কাজ করে ব্যাংকের কমে যাওয়া পয়েন্ট কিছু বাড়ে আবার সারা মাস ধরে কমবে বলে। কার কত পয়েন্ট বাড়বে তার জন্য পরীক্ষার শেষে বের হওয়া পয়েন্ট বিচার করবে। কে সরকার চালাবে তা নির্ভর করবে ভোটের শেষে কার কত পয়েন্ট হলো। দোকানে যাও Phonepay, Gpay ইত্যাদি দিয়ে পয়েন্ট দোকানদারকে দিলে জিনিস দেবে।পেট্রোল পাম্প থেকে পয়েন্ট হিসাবে পয়েন্ট খরচা করতে হবে।টাকা বা পয়সার কোনো মূল্য নেই আছে শুধু পয়েন্ট কারন টাকা পয়সা খাওয়া,পড়া,অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার কিংবা বৃষ্টির সময় ছাতা হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে না কিন্তু ওর ওপর যে ওই এক দুই তিন ইত্যাদি সংখ্যা দ্বারা পয়েন্ট লেখা আছে কেবল তারি গুরুত্ব আছে। কোথাও ঘুরতে যাবো কিলোমিটার পয়েন্ট দেখে ভাড়া বিচার হবে। সরকার থাকবে কি পড়বে বিচার করবে কার কাছে কত সংসদ বা বিধায়ক এর পয়েন্ট আছে। ক্রেডিট ডেবিট কার্ড এর মাধ্যমে পয়েন্ট খরচা করলে নতুন টাইপ এর পয়েন্ট রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায়। পরীক্ষার শেষে যে প্রগতি পত্র বা মার্কশিট সেটাও পয়েন্ট এ ভর্তি যার উপর পরবর্তী ভবিৎসত এর কাজকর্ম নির্ভর করছে যেমন বেশি পয়েন্ট এলে বাবা বলবে সাইকেল কিনে দেবো আবার পয়েন্ট কম এলে বাবা বলবে আজ থেকে খেলা বন্ধ। আমার মতন অনেকেরই লক্ষ কেবল ওই ব্যাংকের পয়েন্ট মিটার টার দিকে। কারন সামাজিক সুযোগ সুবিধা ও সামাজিক স্ট্যাটাস ব্যাংক এর ওই পয়েন্ট এর উপরই নির্ভর করে। সবচেয়ে মজার হচ্ছে শূন্য অনেক শূন্য একসাথে থেকে কিংবা অন্য সংখ্যার আগে থেকে কিছুই করতে পারবে না, কিন্তু সেই অপ্রাসঙ্গিক পাত্তা না পাওয়া শূন্য পয়েন্টের শেষে যত আসবে ততই তার গুরুত্ব বাড়বে। যেনো পয়েন্ট হলো ভিডিও গেমের মতন বাস্তব জীবনে স্কোর করার মতন।জিতলে বেশি পয়েন্ট হারলে পয়েন্ট কমবে।