Posts

Showing posts from March, 2024

Featured Post

পরিত্যাক্ত শহর হাওড়া

  তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পরে অনেক কিছুর বদল হয়েছে। এখন পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘরে না বরং সূর্য সহ অন্য সকল গ্রহকে কৃত্রিম ভাবে পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরানো হচ্ছে।সেই সময় এর কথা মৃত নগর হাওড়া। তৃতীয় বিশযুদ্ধের সময় চিনা বোমা বর্ষণের ভয়ে সমস্ত নগরবাসী পলায়ন করেছিলো। ডাঃ কেসি পাল এর নেতৃত্বে ওরা মোট চারজন মানে রমেশ, সুমিত ও মাধব সেই রহস্যময় তেজস্ক্রিয় উৎসের সন্ধানে এসেছে। সকাল এগারোটা ঝোঁপ ঝাড় ভর্তি গলি রাস্তা যেখানে বহুবছর কোনো লোকের পা পড়েনি। রাস্তার ধারে ভগ্নপ্রায় লতা পাতা দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে সারি সারি বাড়ি দাড়িয়ে আছে। মাঝে মাঝে কিছু বন্য পাখির ডাক শোনা যাচ্ছে। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে ওদের পায়ের শব্দ ঢাকা পড়ে গেলেও ওদের যাবার রাস্তার সামনে দিয়ে কি যেনো সর সর করে রাস্তার দুদিকে নেমে যাচ্ছে।ওদের পায়ের কম্পনে রাস্তার উপর ঘাস থেকে ছোটো ছোট পোকা উড়ছে। বাতাসে ঘেঁটু ফুলের গন্ধে ছেয়ে আছে। কিছুদিন আগে ইসরোর এক কৃত্রিম উপগ্রহ ছবিতে এই পরিত্যাক্ত মৃত নগরীর উপর এক রহস্যময় আলোর সন্ধান জানা যায়। তারপর অন্য স্যাটেলাইট এর স্পেকট্রোস্কোপি বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে জানা যায় ঐ আলোক কোনো তেজস্

পরলোকের দরজা

                                                        ২২এ ফেব্রুয়ারী ২০২৪                                                    এক(ডাঃ দাস এর মৃত্যু)                    সকাল দশটা মামার বাড়ির দরজায় কলিং বেল বেজে উঠতে আমি দরজা খুলে দেখি বছর চল্লিশ – পঞ্চাশ বছরের এক মহিলা দরজার অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমাকে জিজ্ঞেসা করেন কিংকর মুখারজি বাড়িতে আছেন? আমি হ্যাঁ বলে তাঁকে The Solve Detective Agency এর ক্লায়েন্ট মিটিং রুম এ বসতে বলে মামা কে ডাকতে যাই । মামা জিজ্ঞেসা করেন কে ? এক বছর চল্লিশ – পঞ্চাশ বছরের এক নীল শাড়ি পরিহিতা মহিলা The Solve Detective Agency এর কিংকর মুখারজি এর সাথে দেখা করতে এসেছেন, আমি তাঁকে ক্লায়েন্ট মিটিং রুম এ বসিয়ে রেখে এসেছি বললাম । নাম জিজ্ঞেস করেছিস? না জিজ্ঞেসা করিনি আমি বললাম। ঠিক আছে চল ক্লায়েন্ট মিটিং রুম এ । মামাকে ঘরে প্রবেশ করতে দেখে ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়িয়ে নমস্কার করলেন।মামা প্রতি নমস্কার করে উল্টো দিকের সোফায় বসে বললেন আমি কিংকর মুখারজী বলুন । আমি এক সাইডের চেয়ার এতে বসে মোবাইল ফোনের ভয়েস রেকর্ডার টা অন করে একটা খাতাতে ডেট টাইম লিখে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো নোট

পয়েন্টস

যেখানেই যাই সেখানেই খালি পয়েন্ট। সারামাস কাজ করে ব্যাংকের কমে যাওয়া পয়েন্ট কিছু বাড়ে আবার সারা মাস ধরে কমবে বলে। কার কত পয়েন্ট বাড়বে তার জন্য পরীক্ষার শেষে বের হওয়া পয়েন্ট বিচার করবে। কে সরকার চালাবে তা নির্ভর করবে ভোটের শেষে কার কত পয়েন্ট হলো। দোকানে যাও Phonepay, Gpay ইত্যাদি দিয়ে পয়েন্ট দোকানদারকে দিলে জিনিস দেবে।পেট্রোল পাম্প থেকে পয়েন্ট হিসাবে পয়েন্ট খরচা করতে হবে।টাকা বা পয়সার কোনো মূল্য নেই আছে শুধু পয়েন্ট কারন টাকা পয়সা খাওয়া,পড়া,অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার কিংবা বৃষ্টির সময় ছাতা হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে না কিন্তু ওর ওপর যে ওই এক দুই তিন ইত্যাদি সংখ্যা দ্বারা পয়েন্ট লেখা আছে কেবল তারি গুরুত্ব আছে। কোথাও ঘুরতে যাবো কিলোমিটার পয়েন্ট দেখে ভাড়া বিচার হবে। সরকার থাকবে কি পড়বে বিচার করবে কার কাছে কত সংসদ বা বিধায়ক এর পয়েন্ট আছে। ক্রেডিট ডেবিট কার্ড এর মাধ্যমে পয়েন্ট খরচা করলে নতুন টাইপ এর পয়েন্ট রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায়। পরীক্ষার শেষে যে প্রগতি পত্র বা মার্কশিট সেটাও পয়েন্ট এ ভর্তি যার উপর পরবর্তী ভবিৎসত এর কাজকর্ম নির্ভর করছে যেমন বেশি পয়েন্ট এলে বাবা ব

বিগত বছরের মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান এর প্রশ্ন উত্তর

Image
মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান - ২০২৩ মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান - ২০২৪ মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান - ২০২৩ শীঘ্র প্রকাশ করা হবে । মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান - ২০২৪ নিচের প্রশ্ন গুলির সঠিক উত্তর এর পাশে ✓ দেওয়া হোল ( মান - ১) ১.১) বায়ো গাস এর মুল উপাদান - a \(CH_4\) ✓ b \(CFC\) c \(CO_2\) d \(CO\) ১.২) বাস্তব গ্যাস একটি আদর্শ গ্যাস এর ন্যায় আচরণ করে - a উচ্চ চাপে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় b উচ্চ চাপে এবং নিম্ন তাপমাত্রায় c নিম্ন চাপে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় ✓ d নিম্ন চাপে এবং নিম্ন তাপমাত্রায় ১.৩)এসটিপি তে 44.8 লিটার \(CO_2\) এর মোল সংখ্যা - (a) 3  b 1 c 2 ✓ d 1.5 ১.৪) -আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে আয়তন গুনাঙ্ক এবং চাপ গুনাঙ্কএর অনুপাত এর মান - \( \frac{1}{2}  \)  \( 0  \) \( \frac{1}{273}\) \(1   \)✓ ১.৫) -  প্রতিসরাঙ্ক ও আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সম্পর্ক প্রকাশকারী সমীকরণটি হল- \(\mu = A + \frac{B}{\lambda}  \)  \(\mu = A + B\lambda^2  \) \(\mu = A \lambda + B  \) \(\mu = A 

কোনো এক পুকুরের সকাল

Image
 কোনো এক পুকুরের সকাল                                   বাপন কর ঘন নীল আকাশে ছোটো ছোটো পেঁজা তুলোর মতন সাদা সাদা মেঘ ধীরে ধীরে উড়ে চলেছে। সকালের মৃদুমন্দ বাতাস পুকুরের জল তলে কোনো পরিস্ফুটন না ঘটিয়ে বয়ে চলেছে। কিছু পোকা জলের উপর লম্বা লম্বা পা ফেলে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে হেঁটে চলেছে যেনো জলের উপর হেঁটে সকলকে তাক লাগিয়ে দিতে চায়। পুকুরের এক পাশে কিছু জটলা সেখানে কিছু  বড়দের সাথে কচিদের জটলা। বড়রা গভীর আলোচনা করছে আর ধীরে সুস্থে সাঁতার কেটে চড়ে বেড়াচ্ছে। ছোটো ছোটো ছেলে মেয়ে গুলো ছোটাছুটি করছে, কেউ জলে খাবি খেয়ে কেরামতি করছে,  কেউ বা জলের ভিতর থেকে ডিগবাজি দিয়ে উপরে উঠে নিচে পড়ছে। এক বয়স্কা অন্যজনকে বলছে এই চ্যাংড়া ছেলে মেয়েদের জন্য যে একটু শান্ত হয়ে সকালবেলার প্রাত সাঁতার টা দেবো তার উপায় নেই । এই ওদিকে যাও এদিকে বড়রা আছে এক মহিলা ছেলেমেয়েদের উদ্দেশ্যে বলে। কোথাও কোনো বিপদ এর চিহ্ন নেই সকলেই খুশি এবং প্রাত্যহিক কাজে নিবেশ করেছে। পুকুর পাড় দিয়ে ছোট্ট তাতাই যাচ্ছিল। হঠাৎ সে একটা ছোটো আকারের ঢিল তুলে নিয়ে মারলো পুকুরের মাঝে দড়াম করে।জলে আলোড়ন সৃষ্টি হলো

পিঁপড়ের ভোজ সভার আমন্ত্রণ

Image
                      বাপন কর আমরা তো মানুষ এর বিয়ে, অন্নপ্রাশন, শ্রাদ্ধ, জন্মদিন, পূজো কিংবা অন্য অনুষ্ঠান ইত্যাদি উপলক্ষ্যে প্রীতিভোজ এর আমন্ত্রণ পেয়ে থাকি। আমাদের সাথেই বাস করে এরকম অনেক প্রাণীরা আমোদ প্রমোদ পালন করে কিন্তূ সে আমোদ প্রমোদ আমরা সাধারণত  ডাক পাই না কিংবা ওরা কোনো মানুষ কে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করে না।কিন্তু আমি একবার এক পিঁপড়ের ভোজ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত হয়েছিলাম।হুম আপনারা ভাবছেন কি গাঁজাখোর এর পাল্লায় পড়েছি কিন্তু ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য।আপনারা আমার গল্পঃ টা একবার শুনলে বুঝবেন আমি কোনো গাঁজাখুরি গল্পঃ করতে আসে নি। আমি আমার কিছু বন্ধুদের সাথে গেছি বাঁকুড়ার জঙ্গল এ ঘুড়তে। আমি জঙ্গল এর ভিতরে হাঁটতে হাঁটতে একটু আলাদা হয়ে গেছিলাম তখন একজায়গায় দেখি একটা কালো পিঁপড়ের লাইন চলেছে এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে এবং তাঁদের যাত্রাপথে এক অযাচিত বিপদ এসে উপস্থিত বর্ষার জমা জল তাঁদের যাত্রাপথ কে দু ভাগে ভাগ করে দিয়েছে। যাঁরা পিছনে ছিলো তাঁরা আর এগোতে পারছে না। বেশিরভাগ এর মুখেই সাদা সাদা ডিম মানে ওরা ওদের বাসস্থান ত্যাগ করছে। পিঁপড়েরা আগে থ

Fortran Tutorials with large numbers of examples

Image
                                                               Fortran Examples                                                                  Bapon Kar Exploring Fortran:   The Pioneering Language of Scientific Computing   Introduction: Fortran, short for " Formula Translation ," stands as one of the earliest high-level programming languages, specifically designed for numerical and scientific computation. Developed in the 1950s by IBM engineer John Backus and his team, Fortran revolutionized the field of computing by providing a more efficient and accessible means of expressing mathematical algorithms for complex calculations. Over the decades, Fortran has evolved significantly, with modern versions offering advanced features while retaining its core principles of performance and reliability.  Historical Context: Fortran emerged during a time when computers were rapidly advancing, yet programming was primarily done in low-level languages like assembly or machine code