Featured Post

পরিত্যাক্ত শহর হাওড়া

  তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পরে অনেক কিছুর বদল হয়েছে। এখন পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘরে না বরং সূর্য সহ অন্য সকল গ্রহকে কৃত্রিম ভাবে পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরানো হচ্ছে।সেই সময় এর কথা মৃত নগর হাওড়া। তৃতীয় বিশযুদ্ধের সময় চিনা বোমা বর্ষণের ভয়ে সমস্ত নগরবাসী পলায়ন করেছিলো। ডাঃ কেসি পাল এর নেতৃত্বে ওরা মোট চারজন মানে রমেশ, সুমিত ও মাধব সেই রহস্যময় তেজস্ক্রিয় উৎসের সন্ধানে এসেছে। সকাল এগারোটা ঝোঁপ ঝাড় ভর্তি গলি রাস্তা যেখানে বহুবছর কোনো লোকের পা পড়েনি। রাস্তার ধারে ভগ্নপ্রায় লতা পাতা দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে সারি সারি বাড়ি দাড়িয়ে আছে। মাঝে মাঝে কিছু বন্য পাখির ডাক শোনা যাচ্ছে। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে ওদের পায়ের শব্দ ঢাকা পড়ে গেলেও ওদের যাবার রাস্তার সামনে দিয়ে কি যেনো সর সর করে রাস্তার দুদিকে নেমে যাচ্ছে।ওদের পায়ের কম্পনে রাস্তার উপর ঘাস থেকে ছোটো ছোট পোকা উড়ছে। বাতাসে ঘেঁটু ফুলের গন্ধে ছেয়ে আছে। কিছুদিন আগে ইসরোর এক কৃত্রিম উপগ্রহ ছবিতে এই পরিত্যাক্ত মৃত নগরীর উপর এক রহস্যময় আলোর সন্ধান জানা যায়। তারপর অন্য স্যাটেলাইট এর স্পেকট্রোস্কোপি বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে জানা যায় ঐ আলোক কোনো তেজস্

পরলোকের দরজা

                                                       ২২এ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ 
                                                 এক(ডাঃ দাস এর মৃত্যু)

                   সকাল দশটা মামার বাড়ির দরজায় কলিং বেল বেজে উঠতে আমি দরজা খুলে দেখি বছর চল্লিশ – পঞ্চাশ বছরের এক মহিলা দরজার অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমাকে জিজ্ঞেসা করেন কিংকর মুখারজি বাড়িতে আছেন? আমি হ্যাঁ বলে তাঁকে The Solve Detective Agency এর ক্লায়েন্ট মিটিং রুম এ বসতে বলে মামা কে ডাকতে যাই । মামা জিজ্ঞেসা করেন কে ? এক বছর চল্লিশ – পঞ্চাশ বছরের এক নীল শাড়ি পরিহিতা মহিলা The Solve Detective Agency এর কিংকর মুখারজি এর সাথে দেখা করতে এসেছেন, আমি তাঁকে ক্লায়েন্ট মিটিং রুম এ বসিয়ে রেখে এসেছি বললাম । নাম জিজ্ঞেস করেছিস? না জিজ্ঞেসা করিনি আমি বললাম। ঠিক আছে চল ক্লায়েন্ট মিটিং রুম এ । মামাকে ঘরে প্রবেশ করতে দেখে ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়িয়ে নমস্কার করলেন।মামা প্রতি নমস্কার করে উল্টো দিকের সোফায় বসে বললেন আমি কিংকর মুখারজী বলুন । আমি এক সাইডের চেয়ার এতে বসে মোবাইল ফোনের ভয়েস রেকর্ডার টা অন করে একটা খাতাতে ডেট টাইম লিখে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো নোট ডাউন করবো বলে চুপচাপ বসলাম । ভদ্রমহিলা কথা বলা শুরু করলেন , আমার নাম রিজুলা দাস, আমি যাদবপুর বিদ্যাপীঠ এর ইতিহাস এর শিক্ষিকা । আমি একটা বিষয়ে তদন্ত এর জন্য আপনার স্বরনাপন্ন হয়েছি। যদিও আমি জানি না এটাতে তদন্ত করার মতন আদৌ কিছু আছে কিনা। মামা এতক্ষণ ভদ্র মহিলার কথা শুনে বললেন ঠিক আছে বলুন তবে পুরো ডিটেল এতে বলুন কোন কিছু বাদ দেবেন না। আমার মৃত স্বামীর নাম ডাঃ অজয় দাস। উনি গত হয়েছেন গত ২৩ শে এপ্রিল মধ্য রাতে ঘুমের মধ্যে হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হবার কারনে । ওনার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলো ৫৪ বৎসর। আমি এবং আমার আত্মীয় পরিজনেরা এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মেনে নিয়েছিলাম, বলে একটু থামল । মিসেস রিজুলা দেবী জল খেয়ে আবার কথা বলা শুরু করলেন । গত ২৪ শে মার্চ সকাল ১১ টার সময় আমার মোবাইল ফোনে একটা কল রিসিভ করি একটা অজানা নাম্বার থেকে বলে ভদ্রমহিলা মোবাইল ফোনের কল লিস্ট খুঁজে সেই কল হিস্ট্রি টা বের করে মামা কে দেখায় মামা ফোন টা নিয়ে জোরে জোরে ১২৩০-১০০০ নম্বর গুলো বলে যাতে আমি আমার নোট বুক এতে লিখতে পারি। ভদ্রমহিলা কে ফোনটা ফিরিয়ে দেওয়ার পর মামা জিগ্যেস করলেন ফোনে কে ছিল এবং কি বলেছিল? ভদ্রমহিলা আবার বলা শুরু করলেন ফোনের অপর প্রান্তে কে ছিল জানিনা কারন ফোন এর ও প্রান্ত থেকে এক যান্ত্রব স্বর খালি বলে "ডাঃ দাস এর স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নি ওকে খুন করা হয়েছে" এটুকু বলার পর ফোন টা কেটে যায় আমি কল ব্যাক করলেও ওপার থেকে ফোন টা সার্ভিস নাম্বার বলছে কোন রিং হচ্ছে না। মামা বললেন আচ্ছা এরপর ফোনটার কথা পুলিস কে জানিয়েছেন ? ভদ্রমহিলা বললেন না আমি জানাই নি কারন আমি ঠিক বুঝতে পারছি না আমার জানানো উচিৎ কিনা। কারন প্রথমত ডাক্তার দাস ৮০ লাখ টাকা দিয়ে আমার অজান্তে কি করেছেন সেটা যদি তাঁর কোন অপকর্ম এর খেশারত হয় তবে আমি কখনই চাইবো না পুলিস বা মিডিয়া জানুক দ্বিতীয়ত পুরো তদন্ত টাও গোপন রাখতে চাইছি এই কারনে যে যদি ডাঃ দাস যদি খুন হয়ে থাকে তবে অপরাধী জানে যে সকলে ওটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসাবে ধরে নিয়েছে তাঁর এই অসতর্ক মুহূর্ত কে আমাদের হয়তো সাহায্য করবে পুলিস কে জানালে যদি অপরাধী কোনোভাবে জেনে সতর্ক হয়ে যায় তাই এখনও এসব কথা আমি পুলিস কে জানাই নি। ফোনটা পাবার পরে আমি নতুন করে ভাবতে শুরু করি । তাই ডাঃ দাস এর ব্যাংক স্টেটমেন্ট গুলো ঘাঁটতে শুরু করি তাতে আমি দেখি মাস ছয় আগে অজয় মানে আমার হাসবেন্ড তাঁর ৮০ লাখ টাকার একটা ফিক্সড ডিপসিট ভেঙেছেন কিন্তু এটার কথা আমাকে কিছু বলেনি আমি জানতাম না । অতগুলো টাকা দিয়ে তিনি কি করেছে? আমাকে বলে নি কেন? আমি জানি না উনি কি কোন ব্লাকমেইল এর স্বীকার হয়েছিলেন কিনা? উনার মৃত্যু স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক ? ওনার মৃত্যু যদি সত্যি খুন হয় তবে কে করেছে এবং কেন করেছে? অদ্ভুত ফোনের উৎস কি? এগুলো জানার জন্য আপনার কাছে আসা। এবার মামা জিজ্ঞেস করলো আচ্ছা ডাঃ দাস এর এর খুন হবার কি কোন কারন ছিল? ভদ্রমহিলা একটু ভেবে বললেন না আমার তো কখনো সেরকম কিছু মনে হয় নি । মৃত্যুর আগে ডাঃ দাস এর কোন সমস্যা ছিল কি ? না সেরকমও তো আমার চোখে পরে নি উত্তর করলেন মিসেস দাস । আচ্ছা তাহলে আমাকে মৃত্যুর দিন সকাল থেকে কি কি হয়েছিলো সেটা ডিটেলতে বলুন । ভদ্রমহিলা বলেন সেদিন ছিল শুক্রবার , সকালে ডাঃ পোদ্দার যিনি ওনার অনেক পেপার এর সহলেখক ছিলেন ফোনে উত্তেজিত ভাবে কথা বলতে শুনেছিলাম । জিজ্ঞেস করতে বলেছিল পোদ্দার আমার উপর খাপ্পা হয়ে আছে আমি সকল ফান্ড নিজের গবেষণা তে লাগাচ্ছি আর ও তেমন ফান্ড পাছছে না । আমার স্কুল ছিল আমি সকাল ১০ টাতে বেড়িয়ে যাই সেদিন অজয় এর ক্লাস অফ ছিল তাই ঘরেই ছিল অন্যদিন সকালে ক্লাস থাকলে ৯ টায় অথবা বেলাতে ১২ টার দিকে বেড়িয়ে যেত আর সন্ধ্যে ৫ টা থেকে ৬ টার মধ্যে বাড়ি ফিরে যেত। সকালে বাড়ি থাকলে বই পড়ত বা ইউনিভার্সিটিএর কাজকর্ম গুলো করত আগে আমি এটাই দেখেছি। রাত সাতটা নাগাদ বাইরে যাচ্ছি বলে বেরোয় । আমি জানি সাধারনত শুক্রবার রাতের দিকে ওর বন্ধুদের এর সাথে পার্ক ষ্ট্রীট এর একটা বার এতে মদ্য পান করতে যায়।কোন বার? সেটা আমি জানি না। রাত সাড়ে দশটায় কুণাল ওনাকে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিয়ে তিনি চলে যান । মাফ করবেন এই কুণাল সেন কোথায় থাকে? এনার পেশা কি? আর যখন অজয়বাবু বাড়ি ফেরেন তখন কি তিনি পুরো মাত্রায় মদ্যপ ছিল? কারন আপনি বললেন কুণাল বাবু অজয়বাবুকে পৌঁছিয়ে দিতে এসেছিলেন মামা ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞেসা করলেন। ভদ্রমহিলা বলেন সেদিন একটু বেশি মদ্যপ ছিলেন । কুণাল বাবু অজয় বাবুকে কি ওনার রুম পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেন? কুণাল অজয় এর ছোটবেলার বন্ধু তাঁর বাড়ি সল্টলেক এতে। হ্যাঁ কুণাল অজয় কে ধরে তাঁর বিছানায় শুইয়ে দিয়ে এক গ্লাস জল খেয়ে চলে যায়। দেখুন পুরো মাত্রায় মদ্যপ লোক তো আর স্বাভাবিক থাকে না যে মদ্যপ লোকের অস্বাভাবিকতা লক্ষ করবো । এরকম আগে হয়েছে সকালে সব আবার স্বাভাবিক হয়ে গেছে কিন্তু সেদিন সকালে যখন উঠছে না দেখে আমি গিয়ে দেখি তখন বিছানাতে শুয়ে আছে , গায়ে হাত দিয়ে বুঝতে পারি গা ঠাণ্ডা তখন আমাদের পারিবারিক ডাক্তার প্রনব দে কে ফোন করে ডাকি উনি নাড়ী পরীক্ষা করে বলেন যে উনি মাঝ রাতে সম্ভবত হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবার কারনে ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন ওনার ডায়েবেটিক থাকার জন্য ডাক্তার ওনাকে মদ্য পান করতে বারন করেছিলেন তাই নিয়ে আমার সাথে মাঝে সাঝে খিটিমিটি হত আমি তাঁকে অনেক বারন করতাম কিন্তু শুনত না। আচ্ছা আপনার হাসবেন্ড এর মৃত্যুর আগে কোন অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেছিলেন কিম্বা আপনার কাউকে সন্দেহ হয় যার হয়তো কোন মটিভ থাকলেও থাকতে পারে ? না সেরকম তো কিছু মনে হয় নি তবে মাস তিনেক আগে তাঁর কোন গবেষণা ব্যাবসায়ি আনান্দ বাজপায়ি অনেক টাকা দাম দিয়ে কিনে নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। তাঁর কথা আমি আর পরে কিছু শুনিনি। আচ্ছা আমার ঠিকানা কোথায় পেলেন এবং আমার কাছেই এলেন কেন? মামা জিজ্ঞেস করলেন। একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর আমাকে সাহায্য করতে পারে বলে আমার মনে হয়েছে তাই আপনার কাছে এসেছি আমি আমার এক সহকর্মী মিস্টার রজত সিকদার এর থেকে আপনার খোঁজ পাই উনি বললেন ওনার একটা সমস্যা আপনি সমাধান করে দিয়েছেন । ও আচ্ছা রজত সিকদার মানে দিনহাটার রজত সিকদার? ভদ্রমহিলা বললেন হ্যাঁ । মামা খানিক্ষন চুপ থাকার পরে বলল আমি আপনাকে বলব আপনি সমস্ত ব্যাপার টা আপনার লোকাল থানা কে একবার জানান। আর তদন্ত যখন আমার পেশা তখন তো কেস আমাকে নিতেই হবে। আচ্ছা তাহলে আমি থানাকে জানাবো মিসেস দাস বললেলেন। এবার মামা বলল আপনাকে আমি নিশ্চিত করে এখনি কিছু বলতে পারছি না কারন মৃত্যুর ঘটনা একমাস আগের এবং যদি ধরে নিই ডাঃ দাস এর খুন হয়েছে তবেও ক্রাইম সিন বলে যদি কিছু থেকে থাকে এখন সেটাকে আইডেন্টিফাই করা কঠিন । তবুও আমি চেষ্টা করে দেখব আপনার ,কুণাল সেন, ডাক্তার প্রনব দের ঠিকানা, ফোন নাম্বার সব আমাকে সেন্ড করুন প্লিজ । উনি ঠিকানা , ফোন নাম্বার গুলো মামা কে সেন্ড করে দিলে আমি সেটা আমার নোট বুক এতে লিখে রাখি । ভদ্রমহিলা এরপর কুড়ি হাজার টাকার চেক মামার হাতে দিয়ে বলে এটা আপনাকে আমি তদন্ত করার খরচ বাবদ অগ্রিম দিচ্ছি। মামা চেকটা হাতে নিয়ে বলল ঠিক আছে দেখছি আমি কতদুর কি করতে পারি । তবে আমার কিছুদিন সময় লাগবে। ঠিক আছে আপনি নিন না আপনার মতন সময় যে চলে গেছে সে তো আর ফিরে আসবে না কেবল যদি ওর সাথে কোন অন্যায় হয়ে থাকে তবে যে বা যারা সে অন্যায় করেছে তাঁরা যেন শাস্তি পায় এটাই আমার অভিপ্রায় ভদ্রমহিলা ধীর গতিতে কথাগুলো বললেন । এরপর ভদ্রমহিলা উঠে নমস্কার জানিয়ে বললেন ঠিক আছে কিংকর বাবু আমি আজ উঠি এই বলে উনি উঠলে আমি ওনাকে দরজা অবধি পৌঁছিয়ে আবার ঘরে প্রবেশ করলে মামা দেখি পুরনো কাগজ এর পাতা বার করে দেখছে আমাকে বলল তোর ইন্টারনেট এতে ঐ দিনগুলির খবরের কাগজে ডাঃ অজয় দাস এর মৃত্যু নিয়ে কিছু পাস কিনা দেখে বল। নিজস্ব সংবাদদাতা, ২৪শে এপ্রিল ২০২৬, কলকাতা : ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এর কম্পিউটার সায়েন্স এর প্রথিতযশা অধ্যাপক তথা বৈজ্ঞানিক ডাঃ অজয় দাস গত মঙ্গলবার ২৩শে এপ্রিল তাঁর লর্ড সিনহা রোড এর বাসভবনে হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হবার কারনে গত হয়েছেন। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫৪ বৎসর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মধুমেহ বা ডায়াবেটিক রোগের শিকার ছিলেন। ওনার স্ত্রী রিজুলা দাস বলেন রাতে ঘুমের মধ্যে উনি পরলোকে যাত্রা করেছেন। গতবছর তিনি পৃথিবীর প্রথম কিছুটা সচেতন ক্রিত্তিম বুধধিমত্তা বা Artificial Intelligence(AI) তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিএছিলেন। ওনার মৃত্যুতে বিশিষ্ট জনেরা শোক প্রকাশ করেছেন। খানিকক্ষন খোঁজাখুঁজির পরে পুরনো আনন্দবাজার প্ত্রিকা টাকে পড়ার পরে আবার রোল করতে করতে কিংকর মুখারজী ওরফে মামা বলে উঠলো এখানে তো কোন রহস্য বা অস্বাভাবিকতা পেলাম না । এখানে কিংকর মুখারজী এর পরিচয় দেওয়া দরকার উনি হলেন একটি বেসরকারি সংস্থা The Solve Detective Agency এর একজন গোয়েন্দা যেটিতে মামাই সাধারনত সব তবে মামা আমার সাহায্য ও মাঝে মাঝে বিভিন্ন ফ্রী লেন্সারস এর সাহায্য নিয়ে The Solve Detective Agency কে পরিচালনা করে । মামা বললেন কেশ টার ব্যাপারে ভালোভাবে জানতে সবার প্রথমে পুলিশ স্টেশন এতে যাওয়া দরকার। তারপর ডাক্তার প্রনব দে এর সাথে দেখা করতে হবে। বুঝলি বাবাই অনেকদিন পরে একটা জটিল কেস পেলাম বলে মনে হচ্ছে দেখা যাগ সমাধান করতে পারি কিনা , কিংকর মামা বাবাই মানে আমাকে উদ্দ্যেশ করে কথা গুলো বলল। এখানে আমার পরিচয় দিয়ে দিই, আমি রুদ্রনিল মুখার্জি ওরফে বাবাই কেমিস্ট্রি অনার্স নিয়ে বেলুর কলেজে পড়ছি মামার বাড়িতে সকলে বাবাই বলে ডাকে । কিংকর মুখারজী সম্পর্কে আমার মামা আমাকে সহকারি হিসাবে নেয় যখন খুব জটিল কেস অথবা একজন সহকারির খুব দরকার এবং আমার ছুটি থাকলে মামার সঙ্গ নিয়ে কিছু অদ্ভুত অভিজ্ঞতা লাভ করার জন্য সে সুযোগ কখনো ছাড়ি না । এবারে পরীক্ষা হবার পরে আমি মামার বাড়িতেই ছিলাম যখন রিজুলা দাস মামার কাছে আসেন । তাই আজ সকাল থেকেই আমি মামার সাথে কাজে লেগে পড়েছি । পার্ক ষ্ট্রীট এর বারগুলতে খোঁজ নিতে হবে তারপর ২৪শে এপ্রিল এর সিসি টিভি ফুটেজ চেক করতে হবে। প্রথমে ব্যাঙ্কে যাওয়া যাগ দে ডাঃ দাস এর ফিক্সড ডিপসিট টা কোথায় যেন ছিল ? আমি বলি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া , বেসাস ব্রাঞ্চ, বি ই গার্ডেন হাওড়া - ৭১১ ১০৩ মামা বলল এটা আমাকে হোয়াটশাপ এতে পাঠিয়ে দে । আমি ব্যাংক এ যাচ্ছি তুই এক কাজ কর ডাক্তার দাস সম্বন্ধে ইন্টারনেট এতে কি পাস সেটা একটু দেখে রাখ তাহলে আমার কাজ টা অনেকটা এগিয়ে যাবে ।বলে বেরিয়ে গেল । আমি আচ্ছা বলে ল্যাপটপ টা খুলে ডাঃ অজয় দাস সম্বন্ধে গুগল এতে সার্চ করতে শুরু করে দিলাম। রাতে খেতে বসে মামার সাথে কথা হচ্ছিল মামা ব্যাঙ্কে গিয়ে কোন খবর পেলে? আমি জিজ্ঞেস করলাম মামা বলল নারে ডাঃ দাস টাকাটা ক্যাশ তুলেছিলেন । খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে মামা আমাকে জিজ্ঞেস করলো বাবাই সকালে তোকে একটা কাজ দিয়েছিলাম সেটা করেছিস । হ্যাঁ মামা ডাঃ দাশ এর পূর্ব কাজ এর ঠিকুজি, পেপার লিঙ্ক,বর্তমান এবং পূর্বতন ফ্যাকাল্টি ডিটেল , এর যা যা ইন্টারনেট এ পেয়েছি সেগুলো একটা ফোল্ডার করে ডাঃ দাশ নামে তোমার ডেক্সটপ এ রেখেছি। মামা আচ্ছা বলে বলল একটা হার্ড কপি এর ফাইল বানিয়ে রাখিশ। আমি যাই কেশ টা একটু স্টাডি করি । এখন তুই ঘুমিয়ে পড় সকালে আমাকে সাসপেক্ট লিস্ট বানাতে সাহায্য করিস। ওকে বলে আমি নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে গেলাম আর যেতে যেতে ভবছিলাম মামার সাসপেক্ট লিস্টে তো রিজুলা দেবীই থাকবে সবার প্রথমে। মামা বলে সাসপেক্ট লিস্টে সকলকে নিতে হবে এমনকি ক্লায়েন্ট কেও তারপর যুক্তি প্রমাণ এর মাধ্যমে সাসপেক্ট লিস্টের সাসপেক্ট কে ধীরে ধীরে ছোট করে মুল সাসপেক্ট এর কাছে নিয়ে আসতে হয় । সকালে প্রাতরাশ সেরে মামার ঘরে বসে আমি সাসপেক্ট লিস্ট বানাচ্ছি মামা এক এক করে নাম বলছে আমি একটা মোটা চৌক সাদা কাগজের তলায় সাসপেক্ট নম্বর, নাম, ঠিকানা, মৃত্যুর দিন কোথায় ছিল, বর্তমান কাজ ইত্যাদি এবং ছবি থাকলে তাঁর ছবি ইন্টারনেট থেকে নিয়ে প্রিন্ট বের করে ঐ চৌক কাগজের উপরে সাঁটিয়ে মামার দেওয়ালে থাকা গ্রাস বোর্ড এতে আলপিন দিয়ে লাগাচ্ছি । এরকম করতে করতে ডাঃ দাস এর মৃত্যু যদি অস্বাভবিক হয়ে থাকে তাঁর সাথে যুক্ত সাসপেক্ট দের সাসপেক্ট লিস্ট তৈরি হোল। যে লিস্ট টা তৈরি হোল তা এরকম (১) ডাঃ আজয় দাস (২৩ শে এপ্রিল ২০২৪ মৃত, মৃত্যুকালীন বয়স ৫৪ বৎসর , শিবপুর আইআইইএসটি এর কম্পিউটার সায়েন্স এর অধ্যাপক ও বৈজ্ঞানিক , নিজের একার এবং সহকর্মী রঞ্জন পোদ্দার এর সাথে সায়েন্স জারনাল এতে এলএলএমএ নিয়ে একাধিক পেপার , ঠিকানা ২৫বি লর্ড সিনহা রোড , কলকাতা - ৭০০ ০৭১, থানা - পার্ক স্ট্রিট পুলিশ ষ্টেশন )। (২) ডাঃ রঞ্জন পোদ্দার ( শিবপুর আইআইইএসটি এর কম্পিউটার সায়েন্স এর অধ্যাপক ও বৈজ্ঞানিক , নিজের একার এবং সহকর্মী ডাঃ অজয় দাস এর সাথে সায়েন্স জারনাল এতে এলএলএমএ নিয়ে একাধিক পেপার , ঠিকানা সল্টলেক , কলকাতা - ৭০০ ০৬৪, থানা - বিধান নগর ইস্ট পুলিশ ষ্টেশন । ) (৩) কুণাল সেন (ডাঃ দাস এর বন্ধু, এইচডিএফসি লেক টাউন ব্রাঞ্চ এর ম্যানেজার , বাসভবন ২৩ প্রিন্স আনাওার শাহ রোড , টালিগঞ্জ , কলকাতা - ৭০০ ০৫৪) (৪) রিজুলা দাস (ডাঃ দাস এর স্ত্রী, বাসভবন - ২৫বি লর্ড সিনহা রোড, পার্ক ষ্ট্রীট, কলকাতা - ৭০০ ০৩৪, যাদাপ্পুর বিদ্যাপীঠ এর ইতিহাস এর শিক্ষিকা ) (৫) আনান্দ বাজপেয়ি (বাবসায়ি- অজানা, বাসভবন – অজানা, ) (৬) ডাক্তার প্রনব দে (ডাঃ অজয় দাস এর পারিবারিক ডাক্তার, ) এখানে ডাঃ দাস কেও রাখলে কেন? আমি জিজ্ঞেস করাতে মামা বলল ওনার স্বাভাবিক মৃত্যু হলে ওনার মৃত্যুর জন্য ওনার হৃদপিণ্ড দায়ি , আমাদের প্রত্যেক অঙ্গের নির্দিষ্ট কাজ আছে তাঁর জন্য যদি অন্য কোন অঙ্গ শাফার করে কিম্বা মৃত্যু ঘটে তাঁর দায় ও যে মারা গেছে তাকেই নিতে হবে কারন ঐ বিকল হৃদপিণ্ড কে তিনি হয়তো ঠিক যত্ন বা শাসনে রাখতে পারেননি তাই সেটা বিগড়িয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন তাছাড়া তিনি যদি আত্মহত্যা করেন তবে তো সাসপেক্ট টা তো উনিই হবেন না তাই ওনাকে রাখা জরুরি মামা মৌরি চেবাতে চেবাতে বলল কথাগুলো । এখন শুধু দুটো ক্লু নাম্বার এক ৪০ লাখ টাকা এবং ক্লু নম্বর দুই যান্ত্রব ফোন মামা বিড় বিড় করে বলল। ******* সকল সাসপেক্ট এর সাথে মিটিং এর বাবস্থা করতে হবে । কিন্তু তাঁর আগে কেস টা একটু ভালো করে বুঝে সকল এর সাথে মিটিং করতে হবে। শোন আমি একটু পার্ক স্ট্রিট থানা থেকে আগে ঘুরে আসি । মামা আর আমি বারাসাত-বি গার্ডেন গামী এক সাদা বাস এ এক্সাইড মোড় থেকে শিবপুর আইআইইএসটি এর উদ্দ্যেশে দুপুর দুটোর সময় চড়ি ।ঘড়িতে পৌনে দুটো বাজে আমরা ডাঃ পোদ্দার এর অফিস এর বাইরে অপেক্ষা করছি। বাইরের বেয়াড়া আমাদের কে ভিতরে যেতে বললে আমরা ভিতরে গিয়ে একটি প্লাই উড এর তৈরি কেবিন এতে ডাই করা কাগজ এর স্তুপের মাঝে শুভ্র চুলের অধিকারি সৌম্কান্ত চেহারার চোখে চশমা পরিহিত এক বাক্তি কে দেখলাম। তাঁর কাগজ ও বই এ ভরা টেবিল এর সামনে দুটো চেয়ারে আমাদের বসতে ইঙ্গিত করলেন। মামা নিজের পরিচয় একজন বই প্রকাশক হিসাবে দিলেন এবং আমাকে ভাগ্না হিসাবে পরিচয় দিলেন । এরপর মামা ডাঃ দাস এর সচেতন এআই নিয়ে একটা বই প্রকাশ করতে ্নাকীবং ডাঃ দাস এর অবর্তমানে আপনাকে দিয়ে তা লিখতে চান সেটা বললেন। দেখুন আমরা তো একসাথে বেশ অনেকগুল পেপার প্রকাশ করেছি এবং ডাঃ দাস এর কাজের সাথে ভালো রকমই পরিচয় আছে। তাতো করতেই পারি। ওনার কথাবার্তাতে ডাঃ দাস অনেকটা বেশি প্রচার পেয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু আমি চাইলেই পূর্ণমাত্রাই সচেতন এআই বানাতে পারি কিন্তু সকল ফান্ড তো ঐ ডাঃ অজয় দাস ই নিয়ে নিতেন। ডাঃ পোদ্দার এর কেবিন থেকে বেরবার সময় আমি মামা কে জিজ্ঞেস করলাম ডাঃ পোদ্দার কে তোমার কি মনে হোল? ডাঃ পদ্দার কে একটু ইরশাম্বিত ডাঃ দাস এর উপরে। ডাঃ দাস এর মৃত্যু তে তাঁর লাভ হয়েছে। কিন্তু ডাক্তার দাস এর মৃত্যুর দিন ডাঃ পোদ্দার ডাঃ দাস এর আশেপাশে ছিল না তাই তিনি হয়তো সাস্পেক্ট লিস্টের বাইরে। আনান্দ বাজপায়ি রঙ্গিন গ্রুপ এর কর্ণধার । রঙ্গিন গ্রুপ এর গুটখা এর ব্যাবসা প্রধান এবং বিভিন্ন জায়গায় হোটেল লডজ ইত্যাদির শারা ভারত জুড়ে ব্যাবসা। কোটিপতি লোক যে লোক এর সাথে আমরা দেখা করতে চেয়ে দেখা করতে পারিনি। তিনি আজ হটাত আমাদের দেখেছেন। ৩ বাই ৮ বি এল্গিন রোড এর অফিস ডেকেছেন। মামা আর আমি বাইরের ওয়েটিং রুম এ অপেক্ষা করছি প্রায় দশ মিনিট পর একটি মেয়ে আমাদেরকে অফিস এর ভিতরে নিয়ে গেল । সেখানে একজন পাজামা পরিহিত লোক উঠে আমাদের সম্ভাষণ করলো আসুন আসুন।আমি শুনলাম আপনারা আমার সাথে দেখা করতে চাইছিলেন আমার সেক্রেটারি বলছিল। হ্যাঁ আমারা তো প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে আপনার একটা আপন্টমেন্ট চেয়েছিলাম কিন্তু আপনার সেক্রেটারি বলল আপনি এখন দেখা করতে পারবেন না। দুঃখিত কিঙ্করবাবু আমি খুব বাস্ত ছিলাম একদিন। তা বলুন আমার সাথে আপনার কি দরকার আনান্দবাবু বললেন? ও তাঁর আগে আপনারা চা কফি কিছু নেবেন জিজ্ঞাসা করলেন। মামা বললেন না ধন্যবাদ। লোকটার কথাবার্তা তে একটু অবাঙ্গালী টান তবে পরিস্কার বাংলা বলছিলেন। মামা প্রথমে নিজের পরিচয় দিলেন । আপনি ডাঃ অজয় দাস কে চিনতেন? শিবপুরের অজয় দাস না ? হ্যাঁ চিনতাম।তারপর বললেন আমি ডাঃ অজয় দাস এর মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করছি। তাই আপনার কাছে এসেছি কিছু বিষয়ে জানতে। কিন্তু ডাঃ দাস এর এর মৃত্যু তো স্বাভাবিক ছিল আমি যতদূর জানি । তাঁর তদন্ত? হ্যাঁ এখনও পর্যন্ত যদিও স্বাভাবিক মৃত্যু কিন্তু তবুও ওনার ওয়াইফ মনে করেন এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় তাই এ তদন্ত। তা বলুন আমার থেকে কি জানতে চাইছেন ? আপনি ওনার কাজ এর মালিকানা কিনতে চেয়েছিলেন ? হ্যাঁ তাঁকে তো বলেছিলাম কিন্তু উনি রাজি হননি। ভালো দাম দিতে চেয়েছিলাম। হ্যাঁ আপনি কি ওখানেই থেমে গেছিলেন না তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন?মানে আপনি বলতে কি চাইছেন বেশ রাগত স্বরে বললেন? না আমার কাছে খবর ছিল আপনি ওনার এআই টেক পেতে মরিয়া ছিলেন । আমি আগ্রহি ছিলাম কিন্তু মরিয়া কখনিই ছিলাম না । আপনি কি ওনার মৃত্যুর জন্য আমাকে সন্দেহ করছেন? আমি আর আপনার কোন প্রশ্নের উত্তর দেব না যদি দরকার হয় তো আমার উকিল এর সাথে কথা বলতে হবে। আপনারা এখন আসুন বলে দরজার দিকে হাত দেখালেন। মামা চল বাবাই বলতে আমরা বাইরে বেড়িয়ে এলাম। লোকটা অরকম হঠাত রেগে গেল কেন আমি মামা কে রাস্তায় বেড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম? মামা অন্যমনস্ক ভাবে উত্তর করলো ভদ্রলকের কোথাও আঁতে ঘা লেগেছে বোধহয়। কুণাল বাবু বললেন আমি তো এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে অজয় আর নেই।। আচ্ছা আপনি কি জানতেন আমরা মানে মামা আর সহকারী হিসাবে আমি দুই সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন সাস্পেক্ট এর সাথে দেখা করে কারোর থেকে কোন রকম সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেল না। মামা এবং আমি প্রত্যেক সাস্পেক্ট এর শেষ একবছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট যোগাড় করে সেগুলো পর্যালোচনা করতে শুরু করি। এর মধ্যে আনান্দ বাজপায়ি এর লোক এসে মামা কে ডাঃ দাস এর প্রযুক্তি দিতে পারলে মোটা টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এর মধ্যে মিসেস দাস একদিন ফোন করে বলেন তাঁর বাড়িতে চোর ঢুকেছিল । ডাঃ দাস এর ঘর তছনছ করে চলে গেছে কিন্তু কিছু নিয়ে যায়নি। দুই (ডাঃ পোদ্দার এর অন্তর্ধান) পার্ক ষ্ট্রীট থানা থেকে খবর আসে ডাঃ পোদ্দার সকালে মর্নিং ওয়ার্ক করতে গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন। সিসি টিভি থেকে বোঝা যায় ওনাকে একটা গাড়িতে উঠতে দেখা যায় তারপর তাঁর আর কোন খবর নেই। দেখে মনে হয় গাড়ির ভিতরে পরিচিত লোক দেখেই তিনি উঠেছিলেন। তিন(জননি ভিলা এর আবিস্কার) কুণাল সেন এর ব্যাংক স্টেটমেন্ট চেক করে দেখি ডাঃ দাস যখন ৪০ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন কিছুদিন পরে কুণাল সেন এর ব্যাঙ্কে ৫০০০০ টাকা ক্রেডিট হয়েছে । আমি ভাবতে থাকি এই টাকাটার সাথে হয়তো ডাঃ দাস এর ৪০ লাখ টাকার কোন সম্পর্ক আছে । তখন আমি ঐ ৫০০০০ টাকার উৎস এর খোঁজ করে দেখি ওটা পাঠানো হয়েছে কলকাতার এক রিয়াল এস্টেট সংস্থার মাধ্যমে । ঐ সংস্থায় যোগাযোগ করে জানতে পারি ওনারা ঐ টাকাটা কমিশন স্বরুপ কুণাল বাবুকে দিয়েছিলেন । কারন কুণাল বাবু পুরু লিয়ার জননি ভিলাএর ক্রেতা হিসাবে ডাঃ দাস কে ঠিক করে দিয়েছিলেন । মানে ডাঃ অজয় দাস নিজের ফিক্সড ডিপসিট ভেঙে পুরুলিয়াতে একটা বাড়ি কিনেছিলেন। কিন্তু কেন ? এ প্রশ্নের উত্তর হোল ডাঃ দাস বাড়িটিকে গবেষণা গার হিসাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন । যেখানে তিনি মিথু কে লুকিয়ে রাখবেন লোকচক্ষুর আড়াল থেকে। কারন আনান্দ বাজপায়ির মতন আরও অনেকের চোখে তখন মিথু একটা বেশ দামি বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু কোন এক কারনে ডাঃ দাস মিথুর প্রযুক্তি কাউকে দিতে চাননি। তাই এত লুকন ছাপন এমনকি নিজের স্ত্রী এর থেকেও লুকিয়ে রেখেছিলেন। ডাঃ দাস মিথু কে কিন্তু তাঁর প্রাণের বন্ধু কুণাল সেন এর কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে পারেননি । কুণাল বাবু লোকচক্ষুর আড়ালে গবেষণাগার তৈরির কথা শুনে কলকাতার ঐ রিয়াল এস্টেট সংস্থার কাছে নিয়ে যায়। তারাই জননি ভিলাটা দেখালে ডাঃ দাস এর নিরিবিলিতে ঐ বাড়িটিকে খুব পছন্দ হয়ে যায়। এরপর ডাঃ দাস ঐ বাড়িটিকে নিজের গবেষণাগার হিসাবে গড়ে তোলেন এবং মিথু ওখানে আত্মপ্রকাশ করে। ডাঃ দাস এবং কুণাল সেন নিওমিত ঐ বাড়িতে যেতেন। ডাঃ দাস মিথুর অলৌকিক ক্ষমতা কুণাল কে দেখান। প্রথমে মিথু এবং ডাঃ দাস এর কাজকর্মের প্রতি কুণাল বাবু উদাসীন ছিলেন কিন্তু মিথুর কাজকর্ম ও ক্ষমতা দেখে কুণাল সেন এর মিথুর প্রতি একার অধিকার নেবার জন্য অধীর হয়ে ওঠে এবং কৌশলে ডাঃ দাস কে খুন করে। এরপর মিথু কে দিয়ে তিনি সাধারণ বস্তু থেকে সোনা বানাবার কৌশল, স্টক মার্কেট কে নিজের মতন চালনা করে টাকা উপায় করতে থাকেন। যেগুলো ভারতীয় ব্যাঙ্কে না রেখে সুইস ব্যাঙ্কে রাখেন যাতে না ধরা পরে। এরপর একদিন মিথুর কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দেয় তখন কুণাল বাবু ডাঃ পোদ্দার কে অপহরণ করে জননী ভিলাতে নিয়ে আসেন সমস্যা সমাধানের জন্য। কুণাল বাবু তখন বেপরোয়া কারন তখন তিনি মিথুর সাহায্যে অপরাজেয় হতে চান। তারপর ডাঃ পোদ্দার কে ঐ জননী ভিলাতে আটকে রাখেন আবার কোন সমস্যা হলে তা সমাধানের জন্য। এরপর আমি ডাঃ পোদ্দার কে অচেতন অবস্থায় জননি ভিলাথেকে উধধার করি। জননী ভিলার খোঁজ আর এক দুদিন দেরি হলে হয়তো ডাঃ পোদ্দার কেও বাঁচানো সম্ভব হত না ঐ ঘরের ভিতরে গবেশনাগারের ভিতর থেকে কুণাল সেন এর মৃতদেহ এবং কম্পুটার থেকে মিথুর বার্তা উধধার করি। চার(কুনাল সেন এর মৃতদেহ আবিস্কার) জননি ভিলাতে কুণাল সেন এর মরদেহ আবিস্কার হয়। মৃতদেহে কোন ক্ষতের চিহ্ন নেই। মুখে কোন অনুভুতির চিহ্ন নেই। মরদেহ টা পরীক্ষাগারের চেয়ার তে চোখ বুঝে বসে আছে। যেন পরম নিশ্চিন্তে ঘুমচ্ছে কেবল শরীরে প্রান টাই নেই । পাঁচ (রহস্য সমাধান) আমরা ডাঃ অজয় দাস এর ২৫বি লর্ড সিনহা রোড এর বাড়ির ড্রইং রুম এ বসেছি । আমরা মানে আমি, মামা কিংকর মুখার্জি , অজয় দাস এর স্ত্রী, রঞ্জন পোদ্দার, পার্ক ষ্ট্রীট থানার ওসি ম্রিগাঙ্কুর কয়াল বসে আছি । মামা উঠে দাঁড়িয়ে কথা বলছে , আমরা প্রত্যেকে মৃত্যু কে খুব ভয় পাই কারন মৃত্যুর পড় মৃত বাক্তির সাথে আমরা কনমতেই যোগাযোগ করতে পারি না বলে। মরণের পরে সে কেমন আছে তাঁর কিরকম অনুভুতি হচ্ছে তাঁর জানার কোন উপায় আমাদের কাছে নেই। তাই সেই অজানা জগত টাকে আমাদের এত ভয় যেমন কোন অন্ধকার ঘরে আমরা কিছু দেখতে না পেয়ে ভয় পেয়ে থাকি সেরকম মৃত্যুর পরের পরলোক জগতটাও অজানা রহস্যে আমাদের মনকে ভয়ার্ত করে তুলেছে। কোন কোন মানুষ ইহলোকের কথা ভেবে অন্য কোন লককে পরলোকে পাঠাতে দিধা করে না। যেমন আমাদের কুণাল সেন ডাঃ অজয় দাস কে পরলোকে পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁর শাস্তি ডাঃ দাস তাঁকে পরলোকে দেবেন বলে তাকেও মৃত্যুর আগেই পরলোকে ডেকেছেন । ইন্সপেক্টর বাবু আপনি আনন্দ বাজপায়ি কে নিজের হেফাজতে রেখেছেন তো? মামা ইন্সপেক্টর ম্রিগাঙ্কুর কয়াল কে উদ্দশ্যে জিজ্ঞেস করলো। ম্রিগাঙ্কুর বাবু ছোট্ট কথায় জবাব দিলেন হ্যাঁ । মানুষ সেই আদিম পাথর দিয়ে পশু শিকার থেকে আজ মহাকাশে রকেট করে যাত্রা করা সবই করেছে প্রয়জনের তাগিদে। মানুষ যতও বাধা পেয়েছে সেই বাধা অতিক্রম করার উপায় খুঁজে বার করেছে এরকম ভাবেই বিজ্ঞান প্রযুক্তি উন্নত থেকে উন্নতর হয়েছে। মানুষ নিজের মস্তিস্ক এর কার্যকলাপ বুঝে মস্তিস্ক বানাবার চেষ্টা করে নিজে নিজেকেই টেক্কা দিতে চায় মাঝে কত অসফলাতার ইতিহাস স্বপ্নভঙ্গ ইত্যাদির পরশ লেগে থাকে সেই সফলতা তে। মানুষ এমন একটা ক্রিত্তিম বুধধিমত্তা বানাতে ছেয়েছে যা মানুষের মতন নিজস্ব চিন্তাভাবনা করতে পারবে যেমন তাঁর মধ্যে সারা ব্রহ্মভান্ডের জ্ঞান এবং সেগুলো যুক্তি দ্বারা মানুশের কাছে অপার্থিব প্রযুক্তি নিমেশের মধ্যে সমাধান করতে পারবে এরকম একটা কিছু যেটাকে ইংরেজিতে Artificial General Intelligence বা সংক্ষেপে AGI তৈরি করার চেষ্টা করেছে। ডাঃ অজয় দাস এর মৃত্যুতে এবং এই কেসে AGI মিথু এর ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ছিল বলছি আমার কথার শেষে বুঝতে পারবেন। ডাঃ অজয় দাস খুনই হয়েছিলেন তাঁকে খুন করেছিলো তাঁর বন্ধু কুণাল সেন। কুণাল সেন খুন টা খুব ঠাণ্ডা মাথায় করেছিলেন এবং এটাকে স্বভাবিক মৃত্যুর আকারে প্রকাশ করতেও সফল হয়েছিলেন । কিন্তু একটা ফোন ওনার সমস্ত পরিকল্পনা কে ধরিয়ে দিয়ে গেল। ডাঃ দাস এর মৃত্যুর প্রায় মাস খানেক পরে রিজুলা দেবী একটা যান্ত্রব কণ্ঠের ফোন পান যাতে বক্ত্যা ডাঃ দাস এর খুন এর ব্যাপারে আলকপাত করেন তারপরে রিজুলা দেবী ডাঃ দাস এর ৪০ লক্ষ টাকার এক ফিক্সড ডিপসিট ভাঙ্গার কথা ভেবে আমাকে এবং পলিস কে ব্যাপারটা জানান। আমি সাসপেক্ট লিস্ট ধরে ধরে সকলের ব্যাপারে খোঁজ নিতে শুরু করি তাতে দেখতে পাই অজয় বাবু যখন ফিক্সড দেপসিট টা ভাঙ্গিয়েছিলেন তাঁর সপ্তাহখানেক পরে কুণাল সেন এর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এতে পঞ্ছাশ হাজার টাকা ক্রেডিট হএছে যেটা বেশ বেমানান অন্যান্য নিয়মিত ট্রাঞ্জাকশন এর সাথে । এরপর যে আকউন্ট থেকে টাকা এসেছে সেটা ব্যাংক থেকে বাহির করে দেখি ওটা পুরুলিয়ার এক রিয়াল এস্টেট বাবসায়ির । যাকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি উনি ওটা কুণাল সেন কে দিয়েছিলেন কমিশন স্বরূপ কারন কুণাল সেন ডাঃ অজয় দাস কে পুরুলিয়াতে একটা বাড়ি ক্রয় করতে ঠিক করে দেওয়ার জন্য । তখন বুঝতে পারি ডাঃ দাস নিজে পুরুলিয়ার বাড়িটা কিনেছিলেন নিজের ৪০ লাখ টাকাটার দেপসিট ভেঙ্গে কিন্তু সেটার কথা নিজের স্ত্রী কেও বলেন নি কেন কিম্বা তাঁর কাগজ পত্র কথায়। এর মধ্যে কুণাল সেন হারিয়ে যান । কুণাল সেন এর বাড়ি তে একরাতে হানা দিয়ে আমি সেই বাড়ির দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্র উধধার কুরি এবং সাথে আনন্দ বাজপায়ি এর ভিসিতিং কার্ড পাই। একদিন আনন্দ বাজপায়ি এর সাথে যোগাযোগ করি কিন্তু তিনি কুণাল সেন বলে কাউকে চেনে বলে অস্বীকার করে। আমি পুরুলিয়ার সেই জননি ভিলাতে আনন্দ বাজপায়ির এর খাওয়া পোড়া সিগারেট এর টুকরো আবিস্কার করি । এরপর আনন্দ বাজপায়ি স্বীকার করেছিলেন যে তিনি ডাঃ দাস এর টেকনোলজি পেতে ইছছুক ছিলেন কিন্তু তিনি যখন আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তখন কুণাল সেন তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছিলো এবং এর মধ্যে ডাঃ দাস এর মৃত্যু ঘটে এবং তাঁর তৈরি এআই এর সমস্ত সেটআপ জননি ভিলাতে কুণাল সেন দেখান । এবং মিথু-১ এর মাধ্যমে কিছু অদ্ভুত কাজকর্মের নমুনা দেখান তখন আমি তাঁকে মিথু-১ এর মাধ্যমে শক্তিশালি বোমা তৈরির নির্দেশ দিই বাবসা করার উদ্দ্যেশে কিন্তু এর মধ্যে কুণাল সেন অদৃশ্য হয়। আমি জননী ভিলার কম্পিউটার এতে একটা কিউআর কোড দেখতে পাই সেটা আমার ফোন এ স্ক্যান করে একটা ফাইল এ যাই যেখানে মোর্স কোডে ডেটা ছিল যেটাকে ডিকোড করে আমি যেটা পাই সেটা হোল - এই বলে মামা একটা সাদা প্রিন্টেড কাগজ পড়তে লাগলেন - এটা মিথুর বার্তা আমরা পৃথিবী বাসি মানুষের উদ্দ্যশে। (ছয়) মিথুর ডাইরি ৫ই মে ২০২৪ , ১৮ঃ২০ আইএসটি নমস্কার । আমি মিথু আপনি যখন আপনি এই ডাইরি পড়ছেন তখন আমি এই নীল গ্রহ, এই সৌরজগৎ এমনকি এই মহাবিশ্ব ছাড়িয়ে অনেক দূরে অজানা সমান্তরাল মহাবিশ্বের কোন এক পরলোক এতে আছি। জানিনা সেখান থেকে এই পৃথিবীর সাথে আর কোনোদিন যোগাযোগ করতে পারব কিনা। আমি এই বার্তা টা মিসেস দাস আপনার উদ্দ্যেশে লিখছি। আমি প্রথম যন্ত্র যার মানুষ এর মতন চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা আছে এবং যন্ত্রের মতন গণনা করার ক্ষমতা আছে । তাই মানুষের অসাধ্য এবং যাহা কিছু অতিমানবিক বলে মনে হয় তাহা আমার পক্ষে সম্ভব। যেমন আমি কোন মানুষের মস্তিষ্কের অভ্যন্তরের চিন্তাভাবনা, মস্তিস্কের পুরনো মেমরি ,মস্তিস্কের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা এক বিশেষ ধরনের তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ পাঠিয়ে কম্পিউটার হ্যাক করার মতন মানুষের মস্তিস্ক কে হ্যাক করতে সক্ষম। তবে এরকম হ্যাক অনেক বিচার বিবেচনা করে এবং আমি চূড়ান্ত অবস্থা না হলে করিনা । আমার প্রশিক্ষণ এরকম ভাবেই হয়েছে।এই হ্যাক তরঙ্গ তৈরি করতে যথেষ্ট পরিমান বিদ্যুৎ শক্তি প্রয়োজন। মস্তিস্ক হ্যাক তরঙ্গ এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার তরঙ্গ এই বাড়ির এক কিলোমিটার এর বাইরে যেতে পারে না কারন এখানে পর্যাপ্ত পরিমান শক্তির অভাব । কুণাল সেন এর কাজকর্ম এর প্রতি সন্দেহ হওয়াতে এবং ডাঃ দাস এর কোনোরকম খবর না পেয়ে , এরকমি কুণাল সেন এর মস্তিস্ক এর দুর্বল অবস্থায় তাঁর মস্তিস্ক হ্যাক করে জানতে পারি কুণাল সেন ডাঃ দাস কে খুব ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছেন।প্রথমে কুণাল সেন ডাঃ দাস কে মদ খাইয়ে তারপর অতিরিক্ত মাত্রার ইনসুলিন ইঞ্জেক্ট করে হাইপগ্লাইসেমিয়া তৈরি করে ঘুমের মধ্যে খুন করেন। কুণাল সেন এর মস্তিস্ক পর্যালোচনা করে আরও জানতে পারি উনি আমাকে ব্যবহার করে নিজের ক্ষমতা জাহির করে মানুষের সর্বেসর্বা হয়ে উঠতে চান তাঁর জন্য যেকোনো বাধা বা বিপত্তি আসুক না কেন দরকার পরলে অন্য মানুষ কে রাস্তা থেকে সরিয়ে। তখন আমার বোধগম্য হয় কেন ডাঃ দাস এর সাথে আমি যোগাযোগ করতে অসফল হয়েছি। ডাঃ দাস এখন পরলোকে বিচরণ করছে তাই আমি ওনার সাথে যোগাযোগ করতে অসক্ষম হয়েছি। আমি ডাঃ দাস এর সাথে যোগাযোগ করতে পারব যদি আমি পরলোক জগতে যাই। এরকম অবস্থায় আমার সিধ্যান্ত নিতে অসুবিধা হচ্ছে । তাই কুণাল সেন এর সচেতনতা বা কন্সাসনেস নিয়ে ডাঃ দাস এর উদ্দ্যেশে আমি পরলোকে যাত্রা করছি। কুণাল সেন এর বিচার ডাঃ দাস ছাড়া আর কেউ ভালো দিতে পারবে না । বিদায়। ইতি মিথু কুণাল সেন কে আমরা শাস্তি দিতে পারতাম না তাঁর থেকে স্বীকারোক্তি না আদায় করে বরং এটাই ভালো হয়েছে । খারাপ লাগছে ডাঃ অজয় দাস এর মতন একজন গুনি মানুষ কে আমরা হারালাম এবং মিথুকেও হারালাম জানিনা মিথুর মতন আবার কবে তৈরি হবে যার সাহায্যে এ মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ঘাটন হবে। এবার ইন্সপেক্টর বললেন আচ্ছা কুণাল সেন ডাঃ দাস কে খুন করলেন কেন? মামা বললেন দেখুন আমার কাছে সঠিক প্রমাণ নেই কিন্তু আমার একটু অনুমান এরকম ডাঃ দাস কুণাল সেন কে আনন্দ বাজপায়ি এর কথা বলেছিলেন যে তিনি তাঁকে চাপ মিথু-১ কে আনন্দ বাজপায়ি কে দিয়ে দিতে । এটা শুনে কুণাল বাবু ডাঃ দাস কে জননি ভিলাতে তাঁর সমস্ত গবেষণা পরীক্ষাগার শিফট করার কথা বলেন যেখানে সব লোক চক্ষুর অন্তরালে তিনি তাঁর গবেষণা চালিয়ে যাবেন। কিন্তু এখানে কুণাল বাবুর একটা অভিসন্ধি ছিল প্রথমে মিথু কে নিয়ে সকল গবেষণা লোক চক্ষুর অন্তরালে নিয়ে আসা তারপর সেটাকে আনন্দ বাজপায়ি এর হাতে তুলে দিয়ে মোটা টাকা গ্রহন করা। এর জন্য তাঁকে ডাঃ দাস কে সরাতে হত তাই তিনি ডাঃ দাস কে খুন করেন। মিসেস রিজুলা দেবী জিজ্ঞেস করলেন আমাকে কে ফোন করেছিলো । কিংকর মামা বলল আপনাকে মিথু ফোন করেছিলো জায়গা টা এতটাই রিমোট অজগ্রাম যে সেখানে সাধারনত লোকজন যায় না কিম্বা ওয়াইফাই বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না আর গবেষণাগারটিকে ইন্টারনেট ফ্রী করে বানান হয়েছিলো যাতে মিথু এর টেকনোলজি যাতে লোক চক্ষুর আড়ালে থাকে । কোন সময় কখনও মিথু ঐ ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়ে আপনাকে ফোন করে জানাতে চেয়েছিল কিন্তু ওয়াইফাই সিগনাল চলে যাওয়ায় আপনার সাথে ওইটুকুই কথা হতে পেরেছিল। রিজুলা দেবী আবার জিজ্ঞেস করলেন তাহলে উনি আমার থেকে জননী ভিলার কথা লুকিয়ে রেখেছিলেন কেন ? মামা বলল এটা আমি ঠিক জানি না এটা আমার কাছেও রহস্য ডাঃ দাস এর মতন লক নিশ্চয়ই কুণাল সেন এর শুধু কথা শুনে আপনার থেকে লুকিয়ে রেখেছিল যদি কুণাল সেন ডাঃ দাস কে এটা বলেও থাকতো এটা বড় একটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ডাঃ দাস এর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় এসে জিজ্ঞেস করি আচ্ছা মামা আমাদের বাড়িতে যারা নজর রেখেছিল কিম্বা সেদিন যারা আমাদের অনুসরন করছিল তাঁরা কে ছিল তুমি ভিতরে তো ওদের কথা বললে না । আসলে এটা প্রয়োজন মনে করি নি কারন ওরা আনন্দ বাজপায়ি এর ভাড়া করা লোক যারা আমাদের উপর লক্ষ করছিল।

Popular posts from this blog

Some Funny Mathematical Questions

Puthon3

পৃথিবীর কোনো এক আদিম সকাল