মানুষের সম্ভাব্য অমরত্ব লাভ

 

এখনকার বুদ্ধিমান ঘড়ি বা স্মার্ট ওয়াচ গুলো মানুষের হৃদ্গতি, খরচ হওয়া শক্তি বা ক্যালোরি, শরীরের তাপমাত্রা, এবং অন্যান্য কিছু শারীরিক গতিপ্রকৃতি ট্র্যাক এবং পরিমাপ করতে সক্ষম। এখন আসি এই স্মার্ট ওয়াচ কিরকম বিবর্তন ঘটতে পরে তার কোথায়। ধরা যাক রক্তের নমুনা দরকার তখন স্মার্ট ওয়াচ থেকে কিছু সময় অন্তর সুচ নেমে এসে রক্তের নমুনা নিয়ে টেস্ট করে রেকর্ড করলো সেই অনুযায়ী ঘরে থাকা মেশিন কে নির্দেশ দিলো শরীরের কি সমস্যা। ঘরের মেশিন এবং স্মার্ট ওয়াচ একটা রেডিও বা মোবাইল কানেকশন দ্বারা সর্বদা সংযুক্ত। এখন ঘরে থাকা মেশিন হলো একটা AI যার কাছে মানব ইতিহাস এর সমগ্র জ্ঞান মজুদ। এবং সেই এআই নিজে চিন্তা ভাবনা করে নতুন ধরনের ওষুধ বা ড্রাগ বা টেকনোলজি তৈরি করতে সক্ষম এখন স্মার্ট ওয়াচ থেকে পাওয়া ডেইলি রিপোর্ট অনুযায়ী সেই ব্যক্তির শরীরের জন্য কি প্রয়োজন বা ঘাটতি সেই অনুযায়ী একটি ড্রাগ তৈরি করে রাখল। লোকটি ঘরে ফিরে সেই ড্রাগ খেয়ে নিল। তাহলে তার যে অপূর্ণতা ছিল সেটা সম্পূর্ণ হয়ে গেল। এবারে শরীরের সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য শুধু রক্ত রিপোর্ট করেই পাওয়া সম্ভব না। তার জন্য এমআরআই কিংবা এক্সরে ইত্যাদি করতে হয়। তো তার জন্য ব্যবস্থা আছে স্মার্ট ওয়াচ থেকে কিছু ন্যানো বোট বেরিয়ে যাবে যেটা শরীরের ভেতরে সর্বদা ঘুরে বেড়াবে। যেই ন্যানো বোর্ডগুলো স্মার্ট ওয়াচের সাথে সংযুক্ত থাকবে সেই ন্যানো বোর্ড গুলি শরীরে কোথাও সমস্যা হলে তার খবর স্মার্ট ওয়াচকে পাঠাবে। এবং প্রয়োজনে অস্ত্র পাচারও করে দেবে তো এর থেকে যে ক্ষয় সেটা রোধ করা সম্ভব এবং মানব আয়ু হয়তো এর জন্য প্রচুর বেড়ে যাবে। মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী বা বয়সের জন্য যে সমস্ত ক্ষয় গুলো হয় সেগুলোকে রিভার্স করা যাবে তার ফলে মানুষ হয়তো একদিন অমর হয়ে যাবে। সমস্ত টেকনোলজি যেরকম সুবিধা আছে সেরকম কিছু অসুবিধা আছে প্রথম কথা স্মার্ট ওয়াচ যদি কোন কারণে সমস্যায় পড়ে। বা বোট গুলো যদি কার্যক্রম না থাকে তাহলে তার থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেগুলো তো প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা নিশ্চয় নতুন প্রযুক্তির কাছে থাকবে। এই স্মার্ট ওয়াচ বা ডিভাইস যে হাতে থাকবে টা নাও হতে পারে হয়তো নিউক্লিয় ব্যাটারি চালিত শরীরের অভ্যন্তরে থাকতে পারে প্রয়োজনে শরীরের ভিতরে থাকা ন্যানো বোট গুলো অস্ত্রোপচার করে ওই স্মার্ট ডিভাইস কে শরীরের ভিতরে কিংবা বাইরে আনতে পারে। এটা খুব একটা কল্পনিও নয় আগামী তিরিশ চল্লিশ বছরের মধ্যে এটি হয়তো বাস্তবায়ন হবে।

অমরত্ব নিয়ে একজনের বক্তব্য শুনলাম যেখানে তিনি বলছেন ওনার দাদু তো ১১১ বছর বেঁচে ছিল। তিনি তার শেষ এগারো বছর শুধু মৃত্যু কামনা করতেন ,কারণ আর তার সমসময় এর আর কেউ বেঁচে ছিল না তাই বেশি বাঁচাটা মানুষের অভিশাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে। জানিনা মানুষ যদি বায়োলজিক্যালি অমর হয়ে যায় মানুষ মানসিক দিয়ে অমর হতে চাইবে কিনা।

Popular posts from this blog

Some Funny Mathematical Questions

Puthon3

পৃথিবীর কোনো এক আদিম সকাল